বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
অফিস ডেস্ক
হিলি থেকে মাসুদুল হক রুবেলঃ চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হিলি কাষ্টমসে ২৬৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেও গেলো জুলাাই থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত ৭ মাসে ১৪৫কোটি ৬৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে আয় হয়েছে মাত্র ১১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ২৮ কোটি ২ লাখ টাকা রাজস্ব কম আয় করেছে হিলি কাষ্টমস কতৃপক্ষ।
হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক শহিনুর রেজা শাহিন ও আলম হোসেন জানান, ভারতের সকল অঞ্চলের সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ভালো থাকায় চাহিদার অধিকাংশ পণ্যই আমদানি হয়ে থাকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। তবে ফারাক্কা ব্রিজের সংস্কার কাজ চলায় আমদানি অনেকাংশে কমে গেছে। ফলে পাথরসহ অধিক শুল্কজাত পন্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে এ বন্দর দিয়ে। আগে ভারতীয় আড়াই থেকে ৩ শত ট্রাকে বিভিন্ন পন্য আমদানি হতো এ বন্দর দিয়ে। এখন তা নেমে এসেছে ৫০ থেকে ৬০ ট্রাকে। ব্যবসায়ীরা আশংখা প্রকাশ করছেন,অল্পদিনে রাজস্ব আদায় শুন্যের কোটায় নেমে আসতে পারে।
হিলি কাষ্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো: মুজিবুর রহমান জানান, গেলো ৭ মাসে ১৪৫কোটি ৬৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে আয় হয়েছে ১১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ২৮ কোটি ২ লাখ টাকা রাজস্ব কম আয় হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অধিক শুল্কজাত পন্য কাঁচা ফল, মাছ, মেসিনারীজ, কসমেটিকস, ষ্ঠীল সামগ্রী এ বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ওইসব পন্য ছাড়া অন্যান্য পন্য সামগ্রী আমদানিতে ব্যবসায়ীদের কোন সুযোগ সুবিধা না দিয়ে শতভাগ শুল্ক আরোপ করছে কাষ্টমস। অথচ অধিক শুল্কজাত পন্য আমদানিতে হিলি স্থলবন্দর ব্যতিরেখে অন্যান্য বন্দর দিয়ে পন্য আমদানিতে সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কাষ্টমস এর বৈশম্য নীতিকে দায়ী করছেন তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান জানান, এখন এ বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ, খৈল, ভুষি। অধিক শুল্কের পন্য আমদানিতে অন্যান্য পোর্ট আমদানি হয়েছে এমন পন্যের রেফারেন্স পেপার শুল্ক নির্ধারনের জন্য জমা দিলেও তা গ্রহন করেনা কাষ্টমস কতৃপক্ষ। অথচ নির্দিষ্ট কয়েকটি পোর্ট দিয়ে এইসব পন্য আমদানিতে সংশ্লিষ্ট কাষ্টমস এর সুযোগ সুবিধা পাওয়ায় মৌমুমী আমদানি কারকেরা ওইসকল বন্দর দিয়ে পন্য আমদানি করেই চলছেন। উত্তরাঞ্চল তথা দেশের নিত্যপন্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা নিত্যপন্য আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল করে আসছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
এদিকে বাংলাহিলি কাষ্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: আব্দুল আজিজ সরদার জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এএসওয়াইকোডা (অঝণঈটউঅ) হিসেব অনুযায়ী জানুয়ারী ১ থেকে ১২ জানুয়ারী কর্ম দিবস গুলোতে ২ হাজার ২৮৩ টি আঙ্গুর, কেনু, মালটা কাঁচা ফল ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এর মধ্যে হিলির স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাত্র ৫৩ ট্রাক কাঁচাফল আমদানি করেছেন। যার শুল্ক আরোপ হয়েছে শতভাগ। আর বাঁকি গুলো ঢুকেছে অন্যান্য ৪/৫টি বন্দর দিয়ে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা সুযোগ সুবিধা পাওয়া নির্ভর হয়েছেন আন্যান্য বন্দরের উপর।
বিগত বছরগুলোতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেয়া রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা জোড়াতালি দিয়ে পার করে যাচ্ছেন হিলি কাষ্টমস কতৃপক্ষ। অথচ ৬/৭ বছর আগে এবন্দর দিয়ে লক্ষমাত্রার দ্বীগুনও রাজস্ব আয় করেছে হিলি কাষ্টমস।
প্রকাশ: ৪৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৬ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৬ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৬ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৬ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৮ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে