সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৯
অফিস ডেস্ক
দিনাজপুরে ইটভাটা চালাতে জাল আদেশ দেখানো এবং জাল নথি তৈরির মামলায় ২৭ ইটভাটার মালিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহম্মেদ ভূঞা ২৭ ইটভাটার মালিককে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
পার্বতীপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার ৩০ আসামি সম্প্রতি হাইকোর্টে জামিন নিতে গেলে আদালত আসামিদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা না করায় ইটভাটার মালিক চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেনকে ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মোকারম হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২০ মে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৩১ ইটভাটা চালাতে কথিত জাল আদেশ তৈরি এবং জাল নথি তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে তিন জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অতঃপর দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় গত ২০ জুন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আ. হামিদ বাদী হয়ে দিনাজপুরের ২৯টি, নীলফামারীর ১টি এবং রংপুরের ১টি ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলার আসামিরা হলেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার যমুনা ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী হাসান শাহরিয়ার, আরবি ব্রিকসের রবিউল আলম মুন্সী, এইচবি ব্রিকসের এ জেড এম রেজওয়ানুল হকের এইচবি ব্রিকস, অর্ণব ব্রিকসের নুর আলম ও ইব্রাহীম আলী মন্ডল, বারী ব্রিকসের ফখরুল ইসলাম শাহ, এ অর বি ব্রিকসের রেজওয়ানুল হক, আরটি ব্রিকসের মো. তাশরিফুল, এসএ ব্রিকসের আমানুল্লাহ প্রামাণিক, জেএস ব্রিকসের শাহরিয়ার ইফতেখারুল আলম চৌধুরী, ফাইভ স্টার ব্রিকসের নজরুল ইসলাম, হক ট্রেডার্সের জিকরুল হক, মাইশা ব্রিকসের রেজাউল ইসলাম, এসপি ব্রিকসের পলাশ কুমার রায়, শফী ব্রিকসের মো. শফিকুল ইসলাম, আজাদ ব্রিকসের আবুল কালাম আজাদ, হামিদ অ্যান্ড সন্স ব্রিকসের মো. মোকারম হোসেন।
ফুলবাড়ী উপজেলার রহমান ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ওরফে মিল্টন, নবী ব্রিকসের মাসুদুর রহমান চৌধুরী, এলএইচবি ব্রিকসের লোকমান হাকিম, এসবি ব্রিকসের মঞ্জুরি-ইশ-শাহাদৎ; বিরল উপজেলার এমবি ব্রিকসের মাসুদ রানা, এএম ব্রিকসের রবিউল হাসান; চিরিরবন্দর উপজেলার এনএইচ ব্রিকসের নাজমুল হুদা, আরএ ব্রিকস-১ ও আরএ ব্রিকস-২ এর রফিকুল ইসলাম; দিনাজপুর সদরের পিআর ব্রিকসের পলিন চন্দ্র রায় ও এআর ব্রিকসের মাহফুজুল হক আনার; কাহারোল উপজেলার এএস ব্রিকসের এসএম হায়দার; নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার এনআরবি ব্রিকসের শফিকুর রহমান; রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কাজী ব্রিকসের কুদরতি খুদা ও আসাদুজ্জামান।
আদালত ও মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আটক ইটভাটা মালিকরা পরস্পর যোগসাজশে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স না থাকার পরও ইটভাটা চালু রাখার দুইটি জাল ও রিটের আদেশ তৈরি করেন। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনের ৮ (১) ধারায় উৎপাদন, প্রতিপালন না করায় তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশে দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় গত ২০ জুন উপপরিদর্শক মো. আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে দিনাজপুরের ২৯টি, নীলফামারীর ১টি ও রংপুরের ১টি ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপে পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম জুগলু। আর আসামী পে মামলাটি পরিচালনা করেন দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান জাহানী ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তহিদুল হক সরকার।
জানা যায়, গত মার্চ মাসের শেষের দিকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হয়বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে যমুনা ইটভাটার কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ সমস্যার কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি লিখেছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মাইশা মনওয়ারা মিশু। চিঠিটির হুবাহুব তুলে ধরে দিনাজপুর নিউজ ২৪ ডটকম এ নিউজ করা হয়েছিল সেই সাথে চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভাটাটি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু পদক্ষেপ নিতে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসন দেখে লাইসেন্স না থাকলেও উচ্চ আদালতে করা রিটের মাধ্যমে যমুনা ইট ভাটাটি চলছে।
প্রকাশ: ০৬ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
প্রকাশ: ০৬ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
প্রকাশ: ০৬ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
প্রকাশ: ০৬ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
প্রকাশ: ০৬ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
প্রকাশ: ০৭ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
প্রকাশ: ০৮ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
প্রকাশ: ০৯ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ২ দিন আগে
প্রকাশ: ২ দিন আগে
প্রকাশ: ২ দিন আগে
প্রকাশ: ২ দিন আগে
প্রকাশ: ২ দিন আগে
প্রকাশ: ২ দিন আগে
প্রকাশ: ২ দিন আগে
প্রকাশ: ২ দিন আগে
প্রকাশ: ২ দিন আগে
প্রকাশ: ৩ দিন আগে