বৃহস্পতিবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২০
অফিস ডেস্ক
হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাাদ আব্দুল্লাহ্ঃ
সমস্থ পৃথিবীর মানুষ যখন করোনা ভাইরাসে(পড়ারফ-১৯) আতঙ্কিত,আক্রান্ত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়িতেছে হাজার হাজার মানুষ, ঠিক এমন মহূর্তে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে নাজাত বা পরিত্রানের রাত্রি লায়লাতুল বারাআত বা শবে বারাআত। যা প্রতি বছর আরবী শা’বান মাসে আসে।
১.মুশরিক (আল্লাহর সাথে যারা অন্য কিছুকে সমকক্ষ মনে করে)। ২.হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণকারী ৩. পাজামা বা লুঙ্গি টাখনুর নীচে পরিধানকারী ৪. মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান ৫.আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী। (যদি তা দ্বীনের জন্য না হয়) ৬. মদ ও শরাবে অভ্যস্ত ব্যক্তি।
৭। অন্যায়ভাবে ট্যাক্স (চাঁদা) উসুলকারী ৮. যাদুকর ৯.গনক (ভাগ্য গননাকারী অদৃশ্য সংবাদ দাতা)। ১০.অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকারী ১১.সুদখোর ১২.ঘুষখোর।(-মাজাহেরে হক, খ. ১, পৃ. ৪২২)
হ্যাঁ, তারা যদি খাঁটি অন্তরে তাওবা করে আর কখনও গুনাহ করবেনা,এমনিভাবে খাঁটি অন্তরে তাওবা করার দ্বারা তাদের গুনাহ মাফ হওয়ার আশা করা যায়।
শবে বারআতের রাতে করণীয় আমল সমূহ ঃ
১। ইবাদতের উদ্দেশ্যে রাত্রি জাগরণ করা।
২। আইয়্যামে বীজের রোজা হিসেবে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখা।
হযরত আলী ইবনু আবু তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন- যখন অর্ধ শা’বানের রাত আসবে তখন তোমরা রাতে ইবাদত কর আর দিনের বেলায় সাওম পালন কর। কেননা আল্লাহ ্তা’য়ালা সূর্যাস্তের পর হতে পৃথিবীর আসমানে অবতীর্ণ হয়ে বলেন- কোনো ক্ষমা প্রাথর্না কারী আছে কি ? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কোনো জীবিকার সন্ধানী আছে কি ? আমি তাকে জীবিকা দান করব। আছে কি কোনো ব্যথিত, বিপদগ্রস্ত, নিষ্কৃৃতি লাভের প্রত্যাশী ? আমি তাকে নিষ্কৃৃতি দান করব। এরূপে ফজর পর্যন্ত আল্লাহ্ বান্দাগণকে আহবান করতে থাকেন।” (ইবনে মাজা- শা‘বানের মধ্য রজনী অধ্যায়, মিশকাত সালাত অধ্যায়)
৩। নিজের গুনাহের কথা স্মরণ করে লজ্জিত হয়ে আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চাওয়া।
৪। রোগ-ব্যধি, বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি বিশেষ করে পড়ারফ-১৯ থেকে পরিত্রান এবং রিযিক চাওয়া ইত্যাদি।
৫। মসজিদে গমনেপড়ারফ-১৯ এর কারনে উপস্থিত সীমিত রাখার আহবান থাকায় এ রাতে বাড়ীর নির্জন কক্ষে নফল সালাত, যিকির-আযকার, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি করা।
৬। সম্ভব হলে কবরস্থানে (একাকী) গিয়ে মৃত্য মু’মিন নর-নারী ও শহীদগণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও দু‘আ-দরূদ পাঠ করা।
“আয়েশা (রা.) বলেন, নবী করীম (সা.) বাকী নামক কবরস্থানে দু’আরত ছিলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দুআতে কাটান। আমি ধারণা করলাম হয়ত তাঁর জান চলে গেছে। এরপর তিনি দু’আ শেষে আমার দিকে দৃষ্টিপাত করলেন।” (-মিরকাত, খ. ৩, পৃ. ৯৬৮, হা নং ১২৯৯)
“আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহাহ্ (সা.) আমার কাছে এসে তাঁর দু’টি কাপড় খুলে রাখলেন। এরপর তিনি না ঘুমিয়ে দন্ডায়মান রইলেন। অতঃপর কাপড় দু’টি পরিধান করলেন। আমি ধারণা করলাম যে, তিনি অন্য কোন স্ত্রীর কাছে যাবেন, এতে আমার খুব হিংসা হল। তাই আমি বের হয়ে তাকে অনুসরণ করলাম। অতপর আমি তাঁকে বাকিউল গারক্বাদ নামক কবরস্থানে পেলাম।আমি তাকে দেখতে পেলাম, তিনি মু’মিন নারাী-পুরুষ ও শহীদগণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেেেছন।” (বাইহাকী, খ.৫, পৃ. ৩৬৩)
শবে বারাআতের বর্জণীয় কর্মসমূহঃ
খেল-তামাশা বা আতশবাজি করা, আলোক সজ্জা করা, হালুয়া-রুটি-ভাল খাবারের পিছনে সময় নষ্ট করা, মাজারে মাজারে মেলা বসানো, দূর দূরান্ত— থেকে মানুষ সেখানে এসে ঘুরা-ফিরা করে, রং তামাশা দেখে আর স্বীয় মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট করে। ফলে এ মুবারক রাতের মাগফেরাত ও কল্যাণ থেকে হয় বঞ্চিত। এসব করা যাবে না এ সবের কোন ভিত্তি শরীয়তে নেই।আবার সমস্থ রাত জেগে জেগে ইবাদত করে ফজরের নামাজ ক্বাজা করা যাবেনা।
আমরা যথাযথ ভাবগাম্ভির্য ও ইবাদাত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে নিজ নিজ বাসায় আজকের এ পবিত্র রাত্রিটি পালন করব। এবং সমস্থ বিশ্ববাসীর জন্যে দোয়া করব মহান আল্লাহ যেন সকলকে ক্ষমা করেন। পড়ারফ-১৯ বা করোনা ভাইরাসের মত মহামারী থেকে যেন মহান আল্লাহ আমাদেরকে পরিত্রান দান করেন এবং সমস্থ কবর বাসীকে যেন ক্ষমা করে দেন। আমিন।।
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৭ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে