বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
অফিস ডেস্ক
নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বে আজও এমন কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে যেগুলো সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে প্রত্নতত্ত্ববিদদের অতৃপ্তি ছাড়া তেমন কোনও চমকপ্রদ সংবাদ দেয় না। রহস্যের চাদরে সেগুলো গা ঢাকা দিয়ে থাকে।
গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের কোনও এক সময়ে কোস্টারিকার একটি গভীর জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে আবিষ্কৃত হয় এসব রহস্যময় পাথরগোলা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এগুলো কোনও সাধারণ পাথরের খণ্ড নয়। পাথরকে নিখুঁতভাবে বলের মতো করে কেটে এসব পাথরগোলা তৈরি করা হয়েছিল।
গোলোকাকৃতি এসব পাথরের কোনো কোনোটির ওজন ১৬ টনেরও বেশি এবং ব্যাস ৬.৬ ফিটের ওপরে। কোনও কোনও পাথরগোলা তৈরি করা হয়েছিলও চুনা আর বেলেপাথর দিয়ে। এগুলো ইসথমো-কলাম্বিয়ান অঞ্চলের ভাস্কর্য নামেও পরিচিত। ভাস্কর্যগুলো ঠিক কবে কীভাবে তৈরি হয়েছে তা আজও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
পাথরগোলার আশেপাশে পাওয়া মাটির তৈরি কিছু তৈজসপত্র বিচার বিশ্লেষণ করে এ ধারণা করা হয় যে পাথরগুলো ২০০-১৫৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছিলও। পাথর গোলাগুলোর অবস্থান দেখে এর নির্মাণকাল নির্ণয় করা অসম্ভব ছিল না। কিন্তু, পাথরগোলাগুলো বর্তমানে তাদের সঠিক অবস্থানে নেই। বেশিরভাগ পাথরগোলাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কোস্টারিকার এর ইসলা দেল ক্যানিও নামক ছোট্ট একটি দ্বীপে।
যার অবস্থান দেশটির রাজধানী সান হোজ থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে। এ দ্বীপটি বর্তমানে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ সকল রহস্যময় পাথরগোলা এ দ্বীপের বিশেষ আকর্ষণ। পাথরের আশেপাশে মাটি খনন করে যেসকল জিনিসপত্র পাওয়া গেছে সেগুলো দক্ষিণ কোস্টারিকা বা দিকুইস ডেল্টার ইসথমো কলাম্বিয়ান যুগের নিদর্শন বলে মনে করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের দিকে ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানি কলাবাগান তৈরি করার জন্য ছোট্ট এ দ্বীপটির বনাঞ্চল পরিষ্কার করার কাজে হাত দেয়। বুলডেজার এবং অন্যান্য ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে বন-জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় তারা ছোটো-বড় অনেক পাথরের সম্মুখীন হয়। বন পরিষ্কারের নামে তারা বেশ কিছু পাথর গুড়িয়ে দেয়।
এভাবেই আবিষ্কৃত হয় এসব রহস্যময় পাথরগোলা। অনেকে ধারণা করতে থাকে এসব পাথরের ভেতর গুপ্ত কোনও বস্তু লুকিয়ে আছে। তাই স্বর্ণ বা কোনও মূল্যবান ধন-সম্পদের লোভে অনেকগুলো পাথরগোলাকে ডিনামাইট দ্বারা ভেঙে ফেলে হয়। অনেক পাথরগোলার মাঝখানে ছিদ্র করা হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় একশোটিরও বেশী পাথরগোলার সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেকে পাথরগোলাগুলোকে প্রস্তর যুগের নিদর্শন বলে দাবি করেন।
তবে পাথরগোলাগুলো এখন আর তার প্রকৃত আকারে নেই। প্রথম দিকে হয়তোবা পাথরগোলার গায়ে কোনও লিপি ছিল। পাথরগোলাগুলোকে ঘিরে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের মিথ। অনেকে বলেন, পাথরগোলাগুলো ঈশ্বর অথবা প্রকৃতির নিজ হাতে তৈরি। অনেকে দাবি করেন যে হারানো শহর আটলান্টিসের বাসিন্দারা এসকল পাথরের গোলা তৈরি করেছিলেন।
আবার অনেকে মনে করেন এ পাথরগোলাগুলো ভিনগ্রহবাসী অ্যালিয়েনদের মাধ্যমে এ পৃথিবীতে এসেছে। কেননা তাদের দাবি অনুযায়ী সে যুগের মানুষের পক্ষে এতো নিখুঁতভাবে পাথর কেটে এরকম গোলোক তৈরি করা সম্ভব নয়। তাদের বিশ্বাস সে সময়কার মানুষের পক্ষে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এতো বেশি উৎকর্ষতা অর্জন করা সম্ভব ছিলো না। যা-ই হোক না কেনও রহস্যের কিন্তু ক্রমশ জটিল হচ্ছে। যার সমাধান আজও পর্যন্ত বের করতে পারেনি আজকের বিশ্ব।
প্রকাশ: ২০ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৯ মিনিট আগে
প্রকাশ: ৩৬ মিনিট আগে
প্রকাশ: ৪৩ মিনিট আগে
প্রকাশ: ৫৮ মিনিট আগে
প্রকাশ: ০১ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
প্রকাশ: ০১ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১৮ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১৮ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১৮ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১৮ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১৯ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১৯ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১৯ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১৯ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২০ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২০ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২০ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২০ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২০ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২০ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২১ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২১ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২১ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২১ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২১ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২২ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে
প্রকাশ: ১ দিন আগে