সোমবার, ০১ মার্চ, ২০২১
অফিস ডেস্ক
নিউজ ডেস্কঃ ঢাকার ঐতিহ্যের কথা উঠলেই সবার আগে নাম আসে মসলিন কাপড়ের। মসলিনের প্রায় হাজার বছরের ইতিহাস।
জামদানি ও ইলিশের মতো ঢাকাই মসলিন এখন বাংলাদেশের। দেশের ঐতিহ্যবাহী ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে বিশেষ এ বস্ত্র। মসলিন নামক বস্ত্রের আদিভূমি যে এই দেশ, এটি হচ্ছে তার পাকাপাকি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রোপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে ঢাকাই মসলিনকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন-জিআই) পণ্য হিসেবে ঘোষণার ধাপগুলো শেষ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডকে (বাতাঁবো) এই জিআই স্বত্ব দেওয়া হচ্ছে। পরে বাতাঁবোর সুপারিশ বা প্রত্যয়নের মাধ্যমে ঢাকাই মসলিন উৎপাদনকারীদের আলাদা নিবন্ধন দেওয়া হবে।
সর্বশেষ ঢাকাই মসলিনকে বাংলাদেশের জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিতে গত ৬ জানুয়ারি জার্নাল প্রকাশ করা হয়। এ জার্নাল প্রকাশের দুই মাস পর স্বাভাবিক নিয়মে এটি স্বীকৃতি পায়। এর মধ্যে আপত্তি এলে তা নিষ্পত্তি করে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আগামী ৬ মার্চ আপত্তি দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে এ বিষয়ে অন্য কোনো দেশ থেকে আপত্তি আসেনি। ফলে ঢাকাই মসলিনের পুনর্জন্ম হতে যাচ্ছে।
ডব্লিউআইপিওর নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশে জিআই নিবন্ধন সনদ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরকে (ডিপিডিটি)। সংস্থাটির নিবন্ধক আবদুস সাত্তার সমকালকে বলেন, ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাস্বত্ব দিবস উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বীকৃত পণ্য হিসেবে ঢাকাই মসলিনের জিআই সনদ হস্তান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে ৬ মার্চ জার্নাল প্রকাশের দুই মাস পূর্ণ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এ পণ্য জিআই স্বীকৃত হবে। জার্নাল প্রকাশের পর থেকে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ বা কোথাও থেকে আপত্তি আসেনি। ফলে সনদ দিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। এই স্বীকৃতি পেলে দেশের এ পণ্যের নতুন করে বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ তৈরি হবে। তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া এ পণ্য পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাঁত বোর্ডের মাধ্যমে নতুন করে এই পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। ফলে আইন অনুযায়ী এ পণ্যের স্বত্ব পাচ্ছে আবেদনকারী সংস্থা বাতাঁবো।
বর্তমানে জিআই পণ্য পদ্মার রুপালি ইলিশ আর ঢাকাই জামদানি সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে এক অনন্য স্থান দিয়েছে। আগে মিহি সুতিবস্ত্র হিসেবে বিশ্বে সমাদৃত ছিল ঢাকাই মসলিন। এটি শুধু একটি কাপড়ই নয়। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে বিশেষ এক ভূমিকা রেখেছে মসলিন কাপড়। মসলিনের দাপট এক সময় ইউরোপের বাজারে থাকলেও, ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের পরে এটি আর টিকে থাকতে পারেনি। কারণ ইউরোপজুড়ে তখন বস্ত্রশিল্প প্রসার লাভ করায় মসলিন বাজার হারায়।
জার্নালে তুলে ধরা হয়, ফুটি কার্পাস তুলা থেকে চরকার মাধ্যমে উৎপাদিত সুতা দিয়ে গর্ত তাঁতে তৈরি এক ধরনের সূক্ষ্ণ বা পাতলা সুতি কাপড় হচ্ছে মসলিন। কম ওজনের মসলিনের কদর বেশি থাকায় দাম ছিল সবচেয়ে চড়া। মলবুস খাস ও মলমল খাস নামে সেরা মসলিন ছিল সবচেয়ে দামি। সম্রাটের জন্য তৈরি হতো এই মসলিন। এই দুটো ছাড়াও ঝুনা, রঙ্গ, আব-ই-রওয়ান, সরকার-ই-আলি, খাসসা, শবনম, আলিবালি, তন-জেব, তরান্দাম, নয়ন-সুখ, বদন-খাস, সর-বন্দ, সর-বুটী, কামিছ, ডোরিয়া, চার-কোনা ও জামদানি এসব নামে মসলিন ছিল। মসলিন তাতেই এক ধরনের নকশা করা কাপড়কে জামদানি বলা হতো। মসলিন তৈরি ভীষণ জটিল, কঠিন ও সময়সাধ্য। তৈরি হতো ঢাকা জেলার প্রত্যেক গ্রামের তাঁতে। বেশিরভাগই তৈরি হতো ঢাকা, সোনারগাঁ, ধামরাই, তিতাবাদী, জঙ্গলবাড়ী ও বাজিতপুর, ডেমরা, বালিয়াপাড়া, নপাড়া, মৈকুলী, বাহারক, চরপাড়া, বালটেক, নবীগঞ্জ ও সাহাপুরে।
জানা যায়, দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া এ মসলিন ১৭০ বছর পর আবার ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন একদল গবেষক। দীর্ঘ ছয় বছরের চেষ্টায় আবারও মসলিন বুনতে সক্ষম হয়েছেন তারা। ১৮৫০ সালে লন্ডনে প্রদর্শনের ১৭০ বছর পর বাংলাদেশে বোনা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী মসলিন শাড়ি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকায় মসলিন তৈরির প্রকল্পটি ২০১৪ সালে নেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শিগগিরই দেশে মসলিনের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে। বাংলাদেশে মসলিনের নতুন অধ্যায় শুরু হবে।
প্রকাশ: ৩৭৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৭৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৭৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৭৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৭৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮১ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮১ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮১ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮১ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮১ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮১ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮১ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮১ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮১ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৮৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯০ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯০ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯০ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯০ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯০ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯০ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯০ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯২ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯২ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯২ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯২ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯২ দিন আগে
প্রকাশ: ৩৯২ দিন আগে