রবিবার, ০১ আগস্ট, ২০২১
অফিস ডেস্ক
নিউজ ডেস্কঃ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যাবে আগামী মঙ্গলবার (৩ আগস্ট)। পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৫ তারিখের পর কী হবে সেই সিদ্ধান্ত আমরা দেব। তবে লকডাউন কী পরিসরে থাকবে তা আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব। চলমান এই লকডাউন কঠোরতম ছিল সে অনুযায়ী আমাদের সবকিছুই বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন তো আর সেটি থাকছে না। এখন স্বল্প পরিসরে খোলা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের শিল্প-কারখানা খোলা হচ্ছে।
৫ আগস্টের পরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আগামী ৩ আগস্ট সিদ্ধান্ত জানানোর চেষ্টা করব। ওইদিন না হলে ৪ আগস্ট সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উনারা সুপারিশ করেছেন আমরা জানি। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দিচ্ছি। সেটাও সীমিত পরিসরে। সংক্রমণ কমাতে গেলে যেসব বিকল্প আছে, সেগুলো আমরা চিন্তা করছি। যদি কিছু অফিস খুলতে হয়, সেই অফিসের জনবল কী হবে তা নিয়ে চিন্তা করছি। আমরা যতটা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা।’
শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘শনিবারই বিষয়টি বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে। যারা ঢাকা অবস্থান করছেন, বিশেষ করে যারা ঈদে বাড়ি যাননি এবং যারা ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ফিরে এসেছেন তাদের নিয়েই তারা (মালিকরা) কারখানা পরিচালনা করবেন। বাইরে থেকে তারা কোনো কর্মীকে নিয়ে আসবেন না। যারা এই পাঁচ দিন কাজ করবে না, যারা বাইরে আছেন-তাদের চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না। তারা ৫ তারিখের পর ধাপে ধাপে আসবেন। তাদের (বিজিএমইএ নেতা) সঙ্গে যখন কারখানা খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়, তখনো বলা হয়েছিল-যারা শুধু ঢাকাতে বা কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন, তারাই যোগ দেবেন। সেটার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত (কারখানা খোলা) নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে সরকার কর্তৃক ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেওয়ায় ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছেন শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে বিভিন্ন এলাকায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় কর্মজীবী মানুষ খোলা ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে একদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে এসব কর্মজীবী মানুষদের। অন্যদিকে চরমভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পরিবহন চালক ও যাত্রীরা। এসব কর্মজীবী মানুষের অভিযোগ, গণপরিবহন না খুলে গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত করোনা ঝুঁকি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে চাকরি বাঁচাতে এভাবেই তারা কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শুরু হওয়া দুই সপ্তাহের লকডাউনের বিধিনিষেধ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন গত ১৩ জুলাই জারি করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
প্রকাশ: ৬২৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৬২৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৬২৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৬২৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৬২৯ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩১ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩১ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩১ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩১ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩১ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩১ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩১ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩১ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩১ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৩৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪০ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪০ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪০ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪০ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪০ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪০ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪০ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪২ দিন আগে
প্রকাশ: ৬৪২ দিন আগে