সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১
অফিস ডেস্ক
‘ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে’ সরকারকে বিদায় করার ঘোষণা দিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার দল গণফোরামের এক আলোচনায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশকে দুর্নীতি ও কুশাসন থেকে মুক্ত করার জন্য মানুষ ভাবছে। দেশটাকে এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। তিনি সবার ঐক্যের মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের প্রতিনিধি নিয়ে সংসদ হবে। তারা দেশ শাসন করবেন। মানুষ চাচ্ছে, আমরা দেশটাকে বাঁচাব। দেশটাকে তো এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।
দেশের নানান পরিস্থিতিতেও মানুষ উৎপাদন বাড়িয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, মানুষের উৎপাদনের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। মানুষের মধ্যকার ঐক্যকে সংহত করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা কুশাসন, স্বৈরশাসনের শিকার হচ্ছি। এ থেকে মুক্ত হতে হবে। জনগণের ক্ষমতা নিয়ে দেশকে বাঁচাতে হবে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। তারা যথেষ্ট পাচার করেছে, চুরি করেছে।
জ্বালাও পোড়াওয়ের আন্দোলন চান না জানিয়ে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ঐক্যের আন্দোলন, দেশ গড়ার আন্দোলন করতে হবে। দলীয় আন্দোলন না, জনগণের ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, এরশাদের পর আওয়ামী লীগ, বিএনপি সরকার গঠন করেছে এবং রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে দলীয়করণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিকদের মতপ্রকাশ করার স্বাধীনতা খর্ব করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন বাংলাদেশের সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেননি। প্রশ্ন রেখে ড. কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। কিন্তু এমন কেন হচ্ছে? রাষ্ট্রের ঘাটতিগুলো কোথায়?
গণফোরাম সভাপতি সংবিধানের সময়োপযোগী সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচিত সংসদ নিজ এলাকার জনগণের কাছে সরাসরি দায়ী থাকবেন। সংবিধানের ৭০ ও ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে। একই ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। ন্যায়পাল পদে নিয়োগ দিতে হবে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ন্যায়পাল ও মন্ত্রীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন না। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিতে পৃথক কমিশন করতে হবে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আওম শফিকুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোশতাক আহমেদসহ অনেকে।
১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করলেও রাজনীতিতে কখনও আলোড়ন তুলেতে পারেননি গণফোরাম নেতা। তবে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তিনি আলোচনায় চলে আসেন। সে সময় বিএনপি জোটের সবচেয়ে বড় দল হয়েও ড. কামালকে সামনে নিয়ে আসে। তবে নির্বাচনের পর তিনি গুরুত্ব হারান বিএনপির কাছে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও এখনও নিষ্ক্রিয়।
ড. কামাল বলেন, আমরা ২৮ বছর ধৈর্য ধরেছি। প্রতিবারই আন্দোলন করে মুক্ত হই। কিন্তু এরপর স্বৈরাচারী সরকার অত্যাচার করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। এবার আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শুধু ক্ষমতাকে পুনরুদ্ধারই করবো না; ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আমরা সেভাবেই সংগঠিত হবো। তারা আমাদের আর সহজে বঞ্চিত করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, আমাদের এখন মূল কাজ হলো মানুষের মাঝে যে ঐক্য আছে, তা কার্য়করভাবে সংগঠিত করে, সরকারের কুশাসনের যে শিকার হয়েছি, স্বৈরশাসনের শিকার হয়েছি, সেটা থেকে মুক্ত হয়ে… জনগণের ক্ষমতা হাতে নিয়ে দেশকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যাতে হবে।
‘এটা শুরু করা দরকার, অনেক সময় চলে গেছে। এখন দ্রুত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে বিদায় দিই। এই সরকার যথেষ্ট করেছে। পুঁজিবাজার থেকে লুট করেছে। অনেক ধনদৌলত করেছে।’
দেশের মানুষের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, এবার আমাদের সুযোগ দিতে হবে, আমরা যাতে দেশকে বাঁচাতে পারি।
সব দিক থেকে সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ এখন বুঝতেছে যে, বাঁচতে হলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কেউ আমাদের মুক্ত করবে না।
জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো ড. কামাল তার নিজ দলেই ঐক্য আনতে পারেননি। গত বছরের অক্টোবরে কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে স্পষ্ট দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় তার দল। এরপর নানা নাটকীয়তায় সর্বশেষ ফের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন নেতারা। তবে দলে বিভক্তি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তারা। আর এই আলোচনাতেও ছিলেন না সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং তার অনুসারীরা।
দলে বিভক্তির এই চিত্র দেখে আলোচনায় অংশ নেয়া গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী দুঃখও প্রকাশ করেন।
ড. কামাল বলেন, আমরা গণফোরাম সকল শক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সময় আর সকলকে নিয়ে সংগঠিত হয়ে মানুষের উজ্জ্বল ভবিষৎ গড়ে তুলবো।
আগামীতে তার নেতৃত্বে কেমন আন্দোলন হবে, সে বিষয়েও জানান তিনি। বলেন, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সবাইকে বলে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা জ্বালাও-পোড়াওয়ের আন্দোলন চাই না। ঐক্যের আন্দোলন চাই। দেশকে দুর্নীতি, চুরিচামারি থেকে মুক্ত করবো।
‘আমাদের লক্ষ্য হবে, এই দেশের মালিক জনগণ। দেশের মলিক যদি জনগণ হয়, সরকার হবে জনগণের। সেই সরকার দেশের জন্য কাজ করবে, দেশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করবে।’
সূত্রঃ শীর্ষনিউজ/এসএসআই
প্রকাশ: ৪৫০ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫০ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫০ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫০ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫০ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৬ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৬৩ দিন আগে