বৃহস্পতিবার, ০২ আগস্ট, ২০১৮
অফিস ডেস্ক
জালাল উদ্দীন রুমী বিরামপুর প্রতিনিধি: একজন সফলআত্নকর্মী মানুষের দেখা সব সময় হয় না। কর্মস্ং স্থান সৃষ্টি করে সাবলম্বি হয়েছেন এমন মানুষের দেখা ও খুব কমই হয়।
২১ জুলাই বিরামপুর উপজেলার মাহমুদপুর হাবিবুর হরমানের চাতালের দক্ষিণ পার্শ্বে আদিবাসি পাড়াসংলগ্ন ইউক্যালিপর্টাস বাগানে দেড়শতাধীক মৌমাছির বাস্কসহ দেখা হয় তাঁর সাথে। এ সময় তিনি তাঁর সহযোগী বিরামপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ কে নিয়ে মৌমাছির পরিচর্যা করছিলেন।
কথা হয় মৌচাষী দীল মোহাম্মদ ও সহযোগী আব্দুল ওয়াহেদ এর সাথে। দীল মোহাম্মদ জানান, দারিদ্রতার অভিশাপে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে কষ্টেই তাঁর দিন কাটছিল । ২০০০ সালে মৌমাছি পালনে মৌচাষের স্বপ্ন জ্বাগে মনে। সে বছর প্রথমে বিসিক থেকে গ্রামের উত্তর শ্যামপুর এফতাদেয়ী মাদ্রায় গ্রামের ৩৫ জন বেকার যুবদের নিয়ে মৌমাছি পালন, পরিচর্যা ও মধু সংগ্রহের বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করি। প্রথমে কয়েকটি বাস্কে মৌমাছির পালন করে পরিচর্যা পূর্বক মধুচাষ শুরু করেন।
মৌমাছি পালন ও মৌচাষের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে দীল মোহাম্মদ জানান, একাট বাস্কে মাত্র একটি রানী মৌমাছি ও একটি পুরুষ মৌমাছি থাকে। বাকীরা সবাই কর্মি হিসেবে মধু সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকে। বংশ বিস্তারে পুরুষ মৌমাছির প্রয়োজন থাকায় সকল কর্মি মৌমাছি মধুর যোগান দিয়ে রানী ও পুরুষরে সেবা করে থাকে। পুরুষ মাছিটি কেবল ৬ জন কর্মি মাছির খাবার একাই খেয়ে থাকে। তাই মধু সংগ্রহের মৌসুম শেষ হয়ে গেলে মধুর ঘাড়তি দেখা দিলেই কর্মি মাছিরা পুরুষ মাছিকে মেরে ফেলে।
মৌমাছি পালনে দীল মোহাম্মদ ২০০৮ ইং সালে প্রথমের দিকে বিসিক থেকে ৮ হাজার টাকা ঋন গ্রহন করে মৌমাছি পালন ও মধু সংগ্রহে আগ্রহী হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমান হিসেবে মৌচাষ করে আসছেন। তাঁর সাথে বেশ কয়েকজন শিক্ষানবীশ মৌমাছি মৌচাষী যোগ দিয়েছেন। তাই কয়েকটি দলে কয়েক স্থানে মৌচাষ করে থাকেন। এখন তাঁর কাছে ৫‘শতাধীক মৌমাছির বাস্ক রয়েছে। শুরু থেকেই তাঁর ভাগ্য বদলে দিতে সহায়তা করেছে মৌচাষ।
দীল মোহাম্মদ জানিয়েছেন, প্রতি নভেম্বর মাস থেকে মধু সংগ্রহের ধুম পড়ে যায়। প্রতিসপ্তাহে গড় হিসেবে ১০ থেকে ১২ মন মধু সংগ্রহ করা যায়। যার প্রতি কেজির মূল্য ৪‘শ থেকে সাড়ে ৪‘শ টাকায় বিক্রি হয়। এ সব মধু মাধ্যম হয়ে প্রাণ, এপি, ডাবর,স্কায়ারসহ বিভিন্ন কোম্পানীর কাছে যায়। প্রতি বছর মধুচাষে বেশ মোটা অংকের টাকা জমে তাঁর হতে। সংসারের সব চহিদা মিটিয়ে চলারমত জমিজিরাত ও ক্রয় করেছেন তিনি। মৌমাছি পালনে ও মধু সংগ্রহে দীল মোহাম্মদ এখন স্বনির্ভরশীল স্বালম্বী ব্যক্তি।
মৌমাছি পালনে ও মধু সংগ্রহে যেমন লাভ রয়েছে তেমনি খরচ ও পরিচর্যার ব্যয়ভার অনেক রয়েছে বলে জানালেন মৌচাষী দীল মোহাম্মদ। অপসেজনে মধু সংগ্রহ হয় না। মৌমাছিদের বাঁচিয়ে রাখতে কোন নিরাপদ স্থানে প্রাকৃতিক দৃর্যোগ থেকে রক্ষার জন্যই কেবল বাস্কগুলো বসাতে হয়। আর মাছির বাড়তি বা উপরি খারা হিসেবে প্রত্যেকটি বাস্কে চিনির রস সরবরাহ করতে হয়। এতেকরে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়।
বিরামপুর উপজেলার মাহমুদপুর আদিবাসি পাড়ার রাস্তার পার্শ্বের ইউক্যালিপর্টাস বাগানে মৌমাছির বাস্ক সারিবদ্ধভাবে রাখার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এলাকার এই স্থানটির চার পার্শ্বে অনেক করলা, ঢ়েঁড়স, লাউ, কুমড়–, ঝিঙ্গে ,পোটল ও বেগুনের ফুলের ফসল রয়েছে। যাতে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা খারার খেতে পারে। এতে করে বাড়তি বা উপড়ি খাবারের যোগান হবে।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা কৃষি কতর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান, মৌমাছি ফসলের পরাগায়ন করে। পরাগায়নে ফসল বৃদ্ধি পায়। আর মধু একটি সুস্বাদু ঔষধী খাবার। শরীরের তাপ রক্ষায় বেশ কাজ করে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। দীল মোহাম্মদের মত প্রত্যেকটি পেশায় শ্রম দিয়ে আত্ননির্ভরশীল হতে তিনি সমাজের বেকার যুবদের এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪১ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৩ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৫ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৪৭ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫২ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে
প্রকাশ: ৪৫৪ দিন আগে