হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অভিযান, রুমে রুমে লাঠি, রামদা, পেট্রলবোমা

লোটাস আহম্মেদ
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪ | সময়ঃ ০১:৩৮
photo

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে চলছে তল্লাশি অভিযান। প্রায় প্রতিটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বাঁশের লাঠি, লোহার পাইপ, রামদা, পেট্রলবোমা, হকিস্টিক, চাকু, তরবারির মতো দেশি অস্ত্র। এ ছাড়া উদ্ধার হয়েছে খালি মদের বোতল, গাঁজা, ফেনসিডিলের মতো মাদক।

 

আজ বুধবার সন্ধ্যার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে অভিযান পরিচালনা করে এসব অস্ত্র ও নেশাজাতীয় দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে। এ সময় অন্যদের মধ্যে সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন, এম জাহাঙ্গীর কবির, শরীফ মাহমুদ, শামসুজ্জোহা, মহিদুল হাসান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার রবিউল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম, জাফর আলী, সেনাবাহিনীর সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদল ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে সার্বিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে অফিস আদেশ জারি করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আবাসিক হলগুলোতে অভিযান শুরু করে এ কমিটি।

আরও পড়ুন
 

আজ দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শেখ রাসেল হল (নুর হোসেন ব্লক), শেখ রাসেল হল (এক্সটেনশন), বঙ্গবন্ধু হল, জিয়াউর রহমান হলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১৪৬টি তরবারি, ২৪৭টি লোহার রড, প্রায় ৪০০ বাঁশের লাঠি, ৪টি পেট্রলবোমাসহ নানা দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রাতে তাজউদ্দীন হলের ১২টি কক্ষে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ রড, লাঠি ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল থেকে উদ্ধার করা দেশীয় অস্ত্র। বুধরাত সন্ধ্যায়

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল থেকে উদ্ধার করা দেশীয় অস্ত্র। বুধরাত সন্ধ্যায়ছবি: প্রথম আলো

অভিযানে অংশ নেওয়া অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সব কটি আবাসিক হলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কক্ষগুলো থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রসামগ্রী সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ রাত থেকে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে উঠতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে যে শিক্ষার্থী যে হলে ছিলেন, আপাতত সেখানেই উঠছেন। পরবর্তী সময়ে যাচাই–বাছাই হবে। যাঁর যে হলে সংযুক্তি, তাঁকে সে হলে যেতে হবে এবং যদি কারও ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যায়, তাহলে সেই শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থাকার যোগ্যতা হারাবেন।

আরও পড়ুন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, প্রতিটি হলে হল সুপার, সহকারী হল সুপাররা ছিলেন। তাঁদের চোখে ধুলা দিয়ে শিক্ষার্থীরা এমন অস্ত্রশস্ত্র হলে আনলেন কীভাবে? এর অর্থ হলো শিক্ষার্থীদের তাঁরাই মদদ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট হল সুপাররা পদত্যাগও করেছেন। অবশ্যই হল সুপারদের আইনের আওতায় আনা উচিত।

পেট্রলবোমা অভিযান

শেয়ার করুন